প্রশ্ন: ১৩৬- নফল নামায জামাতে পড়া যাবে কিনা?
মাওলানা মোজাম্মেল
রামু
প্রশ্ন: ১৩৬- নফল নামায জামাতে পড়া যাবে কিনা? কেউ বলে নফল নামায জামাতে পড়া যাবে আর কেউ বলে জামাতে পড়া যাবে না। যদি জামাতে পড়া হয় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?
উত্তর দিচ্ছেন: মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আজিজ আনোয়ারী
উত্তর দিচ্ছেন: মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আজিজ আনোয়ারী
উত্তর: গত সংখ্যার আগের সংখ্যাতে এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছিল। নফর নামাজ জামাতে পড়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে উভয় প্রকারের মতামত লক্ষ্য করা যায়।
উভয়ের পক্ষে যুক্তি ও রয়েছে। অনেকে বলেছেন তারাবীহ, সুর্যগ্রহণ ও এস্তেস্কার নামায ছাড়া বাকী সকল সুন্নাত ও নফল একাকী উচিত। তবে জামাতেও জায়েয আছে যখন তা
অর্থাৎ নফল নামায যদি ঘোষণা পূর্বক আদায় করা হয়-
তবে সকলের ঐক্যমত অনুসারে মাকরূহ হবে। আর যদি ঘোষণা ছাড়া কিংবা আযান ইকামত ছাড়া মসজিদেও এক কোনায় কিছু সংখ্যক মুসল্লি আদায় করে থাকে তবে মাকরূহ হবে না। আর যদি ঘোষণা ছাড়া কিংবা আযান ইকামত ছাড়া মসজিদের এক কোনায় কিছু সংখ্যক মুসল্লি আদায় করে থাকে তবে মাকরূহ হবে না। শামসুল আয়িম্মা হালওয়ানী (রা.) বলেছেন তিন মুসল্লি নিয়ে জামাতের সাথে নফল আদায় করলে কারো মতে মাকরূহ হবেনা চার জন হলে মাকরূহ সম্পর্কে কথা উঠছে।
ইমাম বোরহান উদ্দিন মাহমুদ লিখিত বিখ্যাত হানাফী মাযহাবের কিতাব ‘মুহিত’ এ উল্লেখ করেছেন-
অর্থাৎ লায়লাতুর রাগায়িব লায়লাতুল কদর ও লাইলাতুর বারাতে ইমামের পেছনে নফল নামাযের এক্তেদা করা মাকরূহ নয়। (ফতোয়ায়ে বেরেলী ১৭০পৃ)
ইমাম আলা হযরত ফতোয়ায়ে রজবীয়ায় বলেছেন আমাদের হানাফী মাযহাবের ইমামদের মতামত হলো
চন্দ্র গ্রহণের নামায ও এই হুকুমের অন্তর্ভক্ত।
ফতোয়ায়ে শামীর বক্তব্য অনুসারে তারাবিহ সুর্যগ্রহণ এস্তেস্কার নামায ছাড়া বাকী সকল নফল একাকিই পড়বে।
(বিস্তারিত দেখুন ফাতোওয়ায়ে রজভীয়া (খন্ড ৭ম পৃ: ৪১৬-৪১৭) মাসায়ালা নং ৯০৩৪ শামী বাবুল কছফ, খন্ড ২য় পৃ: ১৮৩ (করাচী থেকে প্রকাশিত) মারাকিউল ফালাছ-২১১)
প্রকাশিত:
মাসিক আর-রায়হান
জিলক্বদ 1437 হিজরী, আগষ্ট-সেপ্টেম্বর-2016
No comments