হযরত সাইয়েদ নূর মোহাম্মাদ বাদাউনী (রহঃ)

ছবি: মাজার শরীফ, মাওলানা সাইয়েদ নূর মোহাম্মাদ বাদায়ুনী (রহঃ)


হযরত সাইয়েদ নূর মোহাম্মাদ বাদাউনী (রহঃ) ছিলেন একজন উঁচু স্তরের আলেম এ দ্বীন ফকিহ এ কামেল এবং হযরত খাজা মোহাম্মাদ মাসুম (রহঃ) এর সাহেবজাদা শাইখ সাইফুদ্দিন সেরহিন্দী (রহঃ) এর সোহবতে সুলুকের মাকাম সমুহ অতিক্রম করেছিলেন, এবং শাইখ সাইফুদ্দিন (রহঃ) এর প্রধান খলিফা ছিলেন ।

অধিকাংশ সময় মোরাকাবার জন্য হযরতের পীঠ মোবারক কুজো হয়ে গিয়েছিল।সুন্নতের ইত্তেবায় হযরত অত্যন্ত দৃঢ় ছিলেন।তিনি সর্বদাই সীরাত ও আখলাকের কিতাব নিজের নিকট রাখতেন এবং সেই মত আমল করতেন।আদবের সামান্যতম খেলাফ হইত না। একবার ভুলক্রমে সুন্নতের খেলাফ ডান পা পায়খানার দরজায় রাখায় তিন দিন যাবত তার বাতেনী ফয়েজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।অতঃপর বহু কান্নাকাটি ও তাওবা এস্তেগফারের পরে বাতেন আবার খুলে যায়।

হযরতের ফেরাসাত (অন্তঃদৃষ্টি) ও কাশফ এত সহিহ ছিল যে অনেকে চর্মচোখে যা দেখতো না, হযরত অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে তা দেখতেন এবং তার দেখা নির্ভুল ছিল।

এক মুরিদ হুজুরের নিকট আসার পথে এক গায়রে মাহরাম মহিলার দিকে নজর পড়ে যায়।হযরত উক্ত মুরিদকে দেখেই বললেন, "বোধ হয় কোন না মহরমের ওপর দৃষ্টি পড়েছিল।'

একবার এক দুনিয়াদারের বাড়ি থেকে খানা আসলে হযরত বললেন, "খানাতে জুলুমত মালুম হইতেছে।"
হুজুরের খলিফা মির্জা মাজহার (রহঃ) মোতাওয়াজ্জুহ লইয়া বলিলেন," খানা হালাল উপার্জনের কিন্তু নিয়তের মধ্যে রিয়া পয়দা হওয়ায় খানা থেকে দূর্গন্ধ বাহির হইতেছে।"

একদিন এক খাদেমের সাথে জনৈক শারাবী ( মদ্যপায়ী) সাক্ষাত হয়। উক্ত খাদেম খেদমতে হাজির হইলে হযরত বলেন,' আজ আপনার বাতেনে শরাবের জুলমত মনে হইতেছে, বোধ হয় কোন শরাব খোরের সহিত মোলাকাত হইয়াছিল?
অতঃপর বললেন,' কোন ফাসেক লোকের সহিত মোলাকাত হইলে, নিসবত কালো হইয়া যায়।'

এই মহান ওলী ১১২৫ হিজরী ১১ই জিলকদ ইন্তেকাল করেন।দিল্লীতে খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহঃ) মাজারের নিকট এক গোরস্তানে হযরতের মাজার অবস্থিত।

No comments

Powered by Blogger.