প্রশ্ন-১৯৬: ইমামে রব্বানী মুজাদ্দিদ আল ফেসানী শায়খ আহমদ সেরহিন্দ ফারুকী (রহ.) কর্তৃক প্রবর্তিত ত্বরিকত হল মুজাদ্দেদীয়া ত্বরিকা।
প্রশ্ন-১৯৬: ইমামে রব্বানী মুজাদ্দিদ আল ফেসানী শায়খ আহমদ সেরহিন্দ ফারুকী (রহ.) কর্তৃক প্রবর্তিত ত্বরিকত হল মুজাদ্দেদীয়া ত্বরিকা। জনৈক বক্তার বক্তব্য হলো মুজাদ্দেদীয়া ত্বরিকত হলো একটি খিচুড়ি ত্বরিকা। কারণ এখানে আঠারটি ত্বরিকার সমন্বয় আছে। ফলে ইমামে রব্বানী শায়খ আহমদ সেরহিন্দ (রহ.) কে এই আঠারটি ত্বরিকার কারণে মুজাদ্দিদ বলা হয়। বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল।
উত্তর দিচ্ছেন: মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আজিজ আনেয়ারী
উত্তর: ত্বরিকত সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে জনাব সংরক্ষণ করা দরকার। কারণ আল্লাহর ওলি সম্পর্কে কোন নেতিবাচক কথা বললে হাদিসে কুদসীর ভাষায় তা আল্লাহর সাথে যুদ্ধের শামিল বলে গণ্য হয়ে যায়। ইমামে রব্বানী মুজাদ্দেদ আলফে সানী মূলত: বাহাউদ্দিন নকশবন্দীয়া তরিকতের একটি ধারা। তিনি যেহেতু মুজাদ্দিদ ছিলেন। তার মুজাদ্দেদী কার্যক্রম কোন এক সিলসিলার জন্য ছিলনা বরং গোটা মুসলিম মিল্লাতের জন্য ছিল সেহেতু সেই সময়ে তাঁর তাজদীদ সকলের পক্ষে ছিল। সুতরাং তার সিলসিলা নকশবন্দীয়া ছিল। তার সংস্কার তথা তাজদীদ গোটা মুসলামনের সকল সিলসিলার সকল মাযহাবের ছিল। সেজন্য সকল সিলসিলার মাশায়েখগণ তাকে রূহানী শক্তি যুগিয়েছিলেন। তাই তিনি সকল তরিকার অনুমতি প্রাপ্ত ছিলেন। এটাকে অন্য অর্থে ব্যাখা করা ওলি বিদ্বেষের বহি প্রকাশ।
(আল্লাহর পানাহ)
প্রকাশিত:
মাসিক আর-রায়হান
৩য় বর্ষ, ২৮ সংখ্যা, রবিউল সানি ১৪৩৮ হিজরী,
জানুয়ারী ২০১৭ ইং, মাঘ-১৪২৩ বঙ্গাব্দ।
No comments