হযরত শায়খ্ আবুল হাসান খারকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
শায়খ আবুল হাসান খরকানী (352-425 হি.)
হযরত আবুল হাসান খারাকানীর মাজার |
হযরত সাইয়িদিনা আল বিন আহ্বাদ খাজা আবুল হাসান খরকানী কুদ্দিস সিরুহী (৩৫২-৪২৫ হিঃ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সূফী মাস্টার। তিনি সুলতান আরেফিন খাজা বায়োজিদ বাস্তামির আধ্যাত্মিক ছাত্র ছিলেন, যদিও তিনি সয়ায়ীদিন বাস্তামির (মৃত্যুর 261 হিঃ) মৃত্যুর ৪ বছর পরে ৩২৫ হিজরিতে (963 খ্রি।) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তাসাউফ বিষয়ে তিনি সুলতানুল আউলিয়া হজরত বায়েজিদ বােস্তামী র. এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সুলুকের সূত্রে হজরত বায়েজিদ বােস্তামীর সাথে তাঁর অটুট রূহানী সম্পর্ক ছিলাে। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন হজরত বায়েজিদ বােস্তামী র. এর ইন্তেকালের পরে।
কথিত আছে, সুলতানুল আরেফিন হজরত বায়েজিদ বােস্তামী প্রতি বছর একবার হাস্তানের সরাইখানা জিয়ারতের জন্য যেতেন। সেখানে শহীদগণের কবরস্থান রয়েছে। তিনি খেরকানের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে সেখানে থেমে যেতেন। এমনভাবে নিঃশ্বাস নিতেন, যেভাবে সুঘ্রাণ নেওয়ার জন্য শ্বাস নেওয়া হয়। মুরিদগণ জিজ্ঞেস করতাে, হজরতজান! আমরা তাে সেরকম কিছু অনুভব করছি না। তিনি বলতেন, আল্লাহ্র এক প্রিয় বান্দা আবির্ভূত হবেন— আমি তাঁর সুভাস পাচ্ছি। তার নাম হবে আলী, উপনাম আবুল হাসান। আমার চেয়ে তার অতিরিক্ত তিনটি মর্যাদা থাকবে— ১. তিনি পরিবারবর্গের ব্যয়ভার বহন করবেন। ২. কৃষি কাজ করবেন। ৩. বৃক্ষ। রােপন করবেন। তিনি আমার একশত বছর পর জন্মগ্রহণ করবেন। কথিত আছে, হজরত শায়েখ আবুল হাসান খেরকানি ১২ বছর বয়স থেকে খেরকানে ইশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে সুলতানুল আরেফীনের মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তেন। তাঁর আত্মা থেকে বরকত, নেয়ামত হাসিলের অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি বলতেন, হে আল্লাহ! তুমি তােমার প্রিয় বান্দা বায়েজিদকে যা দান করেছাে, আমাকে তা দান করাে। তিনি সেখান থেকে ওই রাতেই খেরকানে ফিরে এসে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতেন। ইশার ওজু দিয়েই ফজরের সালাত আদায় করতেন। তাজকিরাতুল আউলিয়া পৃষ্ঠা ৩৩।
খাজা মাওলানা ইবনে রােজ বাহান ইসফাহানী র. খাজা আবুদল। খালেক গজদাওয়ানী র. এর শরহে ওয়াসায়েতে লিখেছেন, শায়েখ আবুল হাসান খেরকানী র. এর পীর কয়েক মাধ্যমে হজরত বায়েজিদ বােস্তামী র. এর সাথে মিলিত হয়েছেন। কোনাে কোনাে মাশায়েখ মাধ্যমগুলাের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে- খাজা আবুল হাসান খেরকানী র. এর পীর আবুল মুজাফফর মাওলানা তুর্কতুসী র. তার পীর খাজা আরাবী বায়েজিদ আশেকী র. তার পীর খাজা মােহাম্মদ মাগরেবী র. তাঁর পীর সুলতানুল আরেফীন। শায়েখ বায়েজিদ বােস্তামী র.। শায়েখের আসল নাম আলী ইবনে জাফর। তিনি তাঁর যুগের একক, স্বনামধন্য ও প্রখ্যাত বুজর্গ ছিলেন। সকলেই তাঁর দরবারে আসতাে এবং একবাক্যে সকলেই তাঁর বুজর্গী মেনে নিতাে। তাঁর জামানায় তরিকত অনুসন্ধানীরা তাঁরই কাছে ছুটে আসতাে। শায়েখ আবুল আব্বাস কাস্সাব র. বলেন, আমাদের পর আমাদের বাজার খেরকানী। আবাদ করবে। দেখা গেলাে, শায়েখ আবুল আব্বাসের পর এক যুগ পর্যন্ত লােকজন তাঁরই কাছে আসা যাওয়া করছে। তাবাকাতে সুফিয়ান পৃষ্ঠা। ৩০৮, নুফহাতুল উস পৃষ্ঠা ২৭৫।
শায়েখের মাকাম ঃ শায়েখ আত্তার র. বলেন, শায়েখ আবুল হাসান স্বীয় জামানার রূহানী বাদশাহ, কুতুব, আবদাল এবং তরিকতপন্থীদের মান্যবর ও প্রধান ছিলেন। ইলমে মারেফতের তিনি সর্বজনস্বীকৃত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সার্বক্ষণিক আল্লাহ্র স্মরণ ও মুশাহাদায় লিপ্ত থাকতেন। রিয়াজত ও সাধনা করতেন। বস্তুসমূহের গােপন রহস্য জানতেন। উঁচু হিম্মতওয়ালা বুজর্গ ছিলেন। আল্লাহ্তায়ালার এমন নৈকট্য লাভ করেছিলেন, যা বর্ণনাতীত। তাজকিরাতুল আউলিয়া অধ্যায় ৭৭। |
উত্তম বস্তু : একদিন তিনি তাঁর মুরিদগণকে জিজ্ঞেস করলেন, সবচেয়ে উত্তম বস্তু কোনটি? তারা বললেন, হে প্রাণপ্রিয় শায়েখ! অনুগ্রহ করে আপনিই বলুন। তিনি বললেন, যেই হৃদয় সতত আল্লাহর স্মরণমগ্ন ।
সূফী কে: তাকে জিজ্ঞেস করা হলাে, সূফী কে? তিনি বললেন, চট পরিধান আর জায়নামাজ সাথে রাখলেই সূফী হওয়া যায় না। আবার। সূফীদের অভ্যাস নিয়ম-নীতি পালন করলেও সুফী হওয়া যায় না। সূফী ওই ব্যক্তি, যিনি কিছুই না অর্থাৎ যিনি ফানা ফিল্লাহ্। তিনি আরও বলেন, মানুষ সেই দিন সূফী হতে পারে, যেদিন সে দিনের সূর্যালােককে অনাবশ্যক মনে করে এবং রাতে অপ্রয়ােজনীয় মনে করে চন্দ্রালােক ও নক্ষত্রপুঞ্জকে। নুফহাতুল উস ২৭৫ পৃষ্ঠা।
বাণী: বর্ণিত আছে, একদা শায়েখ চল্লিশজন দরবেশসহ স্বীয় খানকায় উপবিষ্ট ছিলেন। একাধারে সাত দিন খাদ্যবঞ্চিত ছিলেন তাঁরা। এক ব্যক্তি আটার থলে ও বকরি নিয়ে খানকার প্রাঙ্গণে এসে আওয়াজ দিলাে। দরবেশগণ জিজ্ঞেস করলেন, কী চাও? সে বললাে, সূফীদের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে এসেছি। শায়েখ বললেন, তােমাদের মধ্যে যে সূফী সে যেনাে। গ্রহণ করে। আমি সুফী দাবি করার যােগ্য নই। উপস্থিত সবাই নীরব রইলেন। অতঃপর শায়েখ আটা এবং খাসি ফেরত দিলেন। তাজকিরাতুল আউলিয়া ৩৪৫ পৃষ্ঠকেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করলাে, মানুষ কীভাবে বুঝতে পারবে যে, সে জাগ্রত? তিনি বলেন, এ কথার দ্বারা যে, যখন সে আল্লাহর স্মরণে লিপ্ত থাকবে, তখন মাথা থেকে পা পর্যন্ত আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন থাকবে। নুফহাতুন্ উস ২৭৫ পৃষ্ঠা।
সততা : একবার তাকে জিজ্ঞেস করা হলাে, সত্যতা (সত্য কথা) কী? তিনি বললেন, যে কথা মনের মধ্যে আছে, সে কথাই সত্য কথা।
এখলাস একবার তাকে জিজ্ঞেস করা হলাে, এখলাস কী? তিনি। বললেন, তােমরা যা কেবলই
আল্লাহর জন্য করাে, তা-ই এখলাস, আর যা মানুষের জন্য করাে, তা রিয়া বা লৌকিকতা।
বাকা ও ফানা : তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলাে, ফানা এবং বাকার আলােচনা করা কার জন্য সমীচীন?
তিনি বললেন, এমন ব্যক্তির জন্য, যাকে একটি রেশমী তার দিয়ে বেঁধে আকাশের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, আর বাতাস এসে গাছপালা ও বাড়িঘর ধসিয়ে দিচ্ছে, পর্বতমালাকে দূরে নিক্ষেপ করছে, সাগরকে মাটি দ্বারা ভরাট করে দিচ্ছে, অথচ ওই ঝুলন্ত ব্যক্তিকে তার স্থান থেকে নড়াতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখিও না, তুমি আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছাে আর সে অন্য কথা বলে। যেমন কবি বলেন, চিন্তিত থাকো। তােমার চোখ যেনাে অশ্রুসিক্ত থাকে, কেনােনা আল্লাহতায়ালা অশ্রুসিক্ত ও চিন্তিত বান্দাকে পছন্দ করেন।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনাে ব্যক্তি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য কবিতা পাঠ করে, তার চেয়ে উত্তম হলাে কোরআনুল করীম তেলাওয়াত করা । সুতরাং কবিতা দ্বারা আল্লাহকে পাওয়ার চেষ্টা করবে না।
রসূলে করীম স. এর উত্তরাধিকারী : তিনি বলেন, রসূল স. এর উত্তরাধিকারী হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি তাঁর কাজে সুন্নতানুগ। ওই ব্যক্তি নয়, যে শুধু রসূলের আনুগত্যের কথা লিখে কাগজ কালাে করে।
হজরত শিবলী র. বলেন, আমি এরকম চাই যে, কোনাে কিছু যেনাে না চাই। শায়েখ বলেন, এটাও এক ধরনের চাওয়া। তিনি বলেন, চল্লিশ বছর যাবত আমার অবস্থা এমন যে, আল্লাহতায়ালা আমার অন্তর অবলােকন করছেন। আর আমার হৃদয় নিজেকে ছাড়া কাউকে দেখতে পায় না। আমার হৃদয়ে আল্লাহ্র স্মরণ ছাড়া আর কিছু নেই আর আমার বক্ষদেশে তিনি ছাড়া কারাে স্বীকৃতি নেই।
তিনি বলেন, চল্লিশ বছর যাবত আমার প্রবৃত্তি ঠাণ্ডা পানি আর টক দধি খেতে চাচ্ছে, কিন্তু আমি তার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করিনি। তিনি বলেন, দুনিয়াতে আলেম ও আবেদের অভাব নেই। কিন্তু তােমাকে এমন হতে হবে যে, দিন থেকে রাত পর্যন্ত এবং রাত থেকে দিন পর্যন্ত এমনভাবে অতিবাহিত করবে, যেনাে আল্লাহতায়ালা তােমাকে পছন্দ করেন।
তিনি বলেন, অনেকে নামাজ পড়ে ও রােজা রাখে কিন্তু মর্দে মুজাহিদ সে-ই, যার ষাটটি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এভাবে যে, বাম দিকের ফেরেশতা অর্থাৎ পাপ লেখক ফেরেশতা এমন কোনাে আমল দেখতে পায়নি, যে কারণে আল্লাহর দরবারে লজ্জিত হতে হয়।
তিনি বলেন, দুনিয়াতে সুনাম, সুখ্যাতি তিনিই লাভ করতে পারেন। যাকে আল্লাহতায়ালা এমন মর্যাদা দান করেছেন যে, কেউ কিয়ামত দিবসে দোজখের এক প্রান্তে দণ্ডায়মান হলাে। আর আল্লাহতায়ালা যাকে দোযখে প্রবেশ করাতে ইচ্ছা করেন, তিনি তাকে হাত ধরে বেহেশতে নিয়ে যান।
ওলীর ভীতি : ফেরেশতাগণ তিন অবস্থায় আল্লাহর ওলীদেরকে সমীহ করে থাকেন। ১. হজরত আজরাইল আ. জান কবজের সময়। ২. কিরামান কাতেবিন আমল লেখার সময় এবং ৩. মুনকার নকীর প্রশ্ন করার সময়। | তিনি আরও বলেন, আল্লাহ্র ওলীদের উপর আনন্দ-উল্লাস এবং দুঃখকষ্ট, সংকট— কোনাে কিছুই প্রভাব ফেলতে পারে না, কেনােনা আনন্দ এবং সংকট সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে।
বাণী ঃ তিনি বলেন, আল্লাহর সান্নিধ্য গ্রহণ করাে, আল্লাহর সৃষ্টির সাথে নয়। সৃষ্ট জীবের সাথে সম্পর্ক রাখাতে সওয়াব হলেও আল্লাহ্র রাস্তা থেকে দু’বছরের দূরত্ব তৈরী করে দেয়।
দুনিয়া ঃ তিনি বলেন, তুমি যতােক্ষণ দুনিয়া অন্বেষণকারী হবে, ততােক্ষণ দুনিয়া তােমার উপর প্রভাব ফেলবে। আর যখন তুমি দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, তখন তুমি তার উপর বিজয়ী হবে।
দরবেশ ঃ তিনি বলেন, দরবেশ সেই, যার কাছে দুনিয়া আখেরাত কোনােটিই নেই। আর যে এগুলাে কামনাও করে না। কেনােনা দুনিয়া ও আখেরাতের সাথে সম্পর্ক করা খুবই তুচ্ছ বিষয়। দুনিয়া এতাে তুচ্ছ বিষয়। যে, যার সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক অশােভন।
তিনি বলেন, ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে তােমাকে নামাজ পড়তে বলা হয়নি, তেমনি সময়ের পূর্বেই তুমি রুজি চেয়াে না।।
তিনি বলেন, মানুষের কাজ হলাে পবিত্রতার সাথে সুলুকের পথে। ঊধ্বারােহণ। কাজের আধিক্য নয়।
উত্তরাধিকারী কে : তিনি বলেন, আমরা রসূল স. এর উত্তরাধিকারী। আমরা এ জন্য উত্তরাধিকারী যে, আমরা গরীব। অর্থাৎ আমরা মহানবী স. এর গুণে গুণান্বিত। মহানবী স. দরবেশী অবলম্বন করেছিলেন আর। আমরাও দরবেশী অবলম্বন করেছি।
কারামতঃ তিনি বলেন, বান্দার জন্য আল্লাহ্ পর্যন্ত পৌছার হাজার মনজিল রয়েছে। প্রথম মনজিল হলাে কারামত। সালেকের হিম্মত কম হলে। সে অন্যান্য মাকামাতে পৌছতে পারবে না।
তিনি বলেন, যার হৃদয়ে আল্লাহর সত্তা ছাড়া অন্য কিছু বিদ্যমান, সে আল্লাহর অনুগত হলেও তার দিল্ মৃত।।
দ্বীনের ভয় : শয়তান থেকে দ্বীনের তেমন ভয় নেই, যতােটুকু ভয় রয়েছে দুই ব্যক্তি থেকে। ১. দুনিয়া লােভী আলেম। ২. এলেমহীন জাহেদ।
তিনি বলেন, চল্লিশ বছর যাবত আমরা কোনাে রুটি পাকাইনি এবং অন্য কোনাে প্রকার খাদ্যও তৈরী করিনি, কিন্তু মেহমানদের জন্য। আমরা সেই খাদ্যে শুধু তােফাইলী (অনাহুত অতিথি মাত্র) ছিলাম। তােমরাও এরূপ থাকবে। যদি সারা দুনিয়া এক লােকমা বানিয়ে মেহমানের মুখে দাও, তথাপি তার হক আদায় করতে পারবে না। যদি পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ভ্রমণ করাে এবং কোনাে আল্লাহওয়ালার সাথে সাক্ষাৎ হয়ে যায়, তবুও এটাকে তেমন কিছু মনে কোরাে না। তাজকিরাতুল আউলিয়া ৩২৯ পৃষ্ঠা।
সবচেয়ে উত্তম ঃ তিনি বলেন, সবচেয়ে আলােকিত হৃদয় হলাে সেটা, যার মধ্যে সৃষ্টজীব নেই। আর সবচেয়ে উত্তম কাজ হলাে সেটা, যাতে সৃষ্টজীবের অনিষ্টের আশংকা নেই। সবচেয়ে হালাল লােকমা সেটাই যা তােমাদের পরিশ্রম দ্বারা অর্জিত। সবচেয়ে উত্তম বন্ধু হলাে সে, যার জীবন ন্যায়ভাবে অতিবাহিত হয়। নুফহাতুল উনস ২৭৬ পৃষ্ঠা। |
ইন্তেকাল ঃ ৪২৫ হিজরীতে আশুরার রজনীতে তিনি ইন্তেকাল করেন। সেদিনই সমাধিস্থ হন। নুফহাতুল উস ২৭৫ পৃষ্ঠা।
No comments