ইমাম কাসেম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর

Qasim ibn Muhammad ibn Abu Bakr


ইমাম কাসেম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর : রমজান মাসে বৃহস্পতিবার, ৩/৩৮ হিজরিতে (আনুমানিক) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বাতেনী সম্পর্ক ইলমে বাতেনে তিনি হজরত সালমান ফারসী রা. এর সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর বংশের ঊর্ধ্বতনদের মহাদৌলত
হজরত সালমান ফারসী রা. থেকে অর্জন করেন। তিনি ইমাম জয়নুল আবেদীন . এর সান্নিধ্য লাভ করেন। এভাবে তার মাধ্যমে হজরত আলী রা. এর নেসবত লাভে ধন্য হন।
তিনি উঁচু পর্যায়ের তাবেয়ী ছিলেন। মক্কার প্রসিদ্ধ সাত ফকীহদের একজন ছিলেন। ছিলেন সে যুগের প্রসিদ্ধ আলেমে দ্বীন বিশ্বাসীদের মধ্যমণি। তিনি সাহাবাগণের এক জামাতের সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং তাঁদের সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেন। অনেক তাবেয়ী তাঁর থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া ইবনে সাইদ . বলেন, আমি ইমাম কাসেম ইবনে। মুহাম্মদের মতো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আর কাউকে দেখিনি। ইমাম মালেক ইবনে আনাস রা. সূত্রে বলেন, কাসেম এই উম্মতের সাত ফকীহদের একজন। মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক . বর্ণনা করেনএক ব্যক্তি ইমাম কাসেম . কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি বড় আলেম, নাকি সালেম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বড় আলেম? উত্তরে তিনি বলেন, সালেম পুণ্যবান। মানুষ। তার ইচ্ছা ছিলো হজরত সালমান রা. কে বড় আলেম বলতে, কিন্তু তিনি এজন্য বলেননি যে, যাতে তার কথা মিথ্যা না হয়। কেনোনা এতে সংশয় বিদ্যমান। এটাও বলেননি যে, আমি বড় আলেম, যাতে আত্মঅহমিকা সৃষ্টি হয়। ইমাম কাসেম . ইমাম জয়নুল আবেদীনের খালাত ভাই। ইমাম সাহেবের জননী ইয়াজ দজর শাহরিয়ারের কন্যা ছিলেন। ইয়াজ দজর ছিলেন ইরাকের সম্রাট। ইমাম কাসেমের ইন্তেকালের তারিখ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে।
গ্রহণযোগ্য মত হলো ১০১ হিজরীতে তিনি পরলোকগমন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বা ৮০ বৎসর।

No comments

Powered by Blogger.